পানি কমার পর আখাউড়া-আগরতলা বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) পানি কমেছে দুই উপজেলাতেই। কসবায় কিছু সড়কে পানি থাকলেও বেশিরভাগ জায়গার বাড়ি-ঘর থেকে পানি নেমে গেছে। তবে এখনও কিছু নিচু বাড়িঘরে জলাবদ্ধতার পানি রয়ে গেছে।
পানি শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার ক্ষতচিহ্ন সামনে আসছে। আখাউড়ার কেন্দুয়াই, রাজেন্দ্রপুর, খলাপাড়া, ইটনা, আইড়ল ও কর্নেল বাজার এলাকার বেশ কিছু বাড়ি-ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি সরে যাওয়ায় ডুবে যাওয়া জমিগুলো আগের অবস্থায় ফিরছে। তবে এসব জমিতে রোপন করা রোপা আমনের চারা বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা কসবা উপজেলাতেও।
এদিকে আজ রবিবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বিকাল থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে যারা ভারতে কিংবা বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন, তাদের ভিসা শেষ হয়ে থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় যেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে গাজীর বাজার এলাকায় সেতু ভাঙা থাকায় সহসাই আমদানি-রফতানি চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন পানিতে ডুবে থাকায় গত চারদিন ধরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে কয়েকটি বাড়িতে জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলবদ্ধতার কারণ নিরসন করে পানি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কসবার ইউএনও মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ‘এখানকার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। তবে কিছু সড়কে এখনও পানি রয়ে গেছে। যে কারণে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবাই এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না।’
তিনি আরও জানান, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।