পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির বৈঠকের কথা অস্বীকার করলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছে বলে শনিবার দেশটির বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়। কিন্তু দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পর পারমাণবিক অস্ত্রাগার দেখভাল করা শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার কোনো বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়নি।

এআরওয়াই টেলিভিশনকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির কোনো বৈঠক হয়নি, কোনো বৈঠক হওয়ার সময়সূচিও ছিল না। খবর রয়টার্সের

শনিবার ভোরে ভারতকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের পর এনসিএর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটিকে দেখা করার জন্য ডেকেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

খাজা আসিফ এআরওয়াই টেলিভিশনকে বলেন, আপনি যে বিষয়টি (পারমাণবিক বিকল্প) সম্পর্কে কথা বলছেন তার উপস্থিতি আছে। কিন্তু আসুন এটি নিয়ে কথা না বলি। আমাদের এটাকে খুব দূরবর্তী সম্ভাবনা হিসাবে বিবেচনা করা উচিত, আমাদের তাৎক্ষণিক প্রেক্ষাপটে এটি নিয়ে আলোচনা করাও উচিত নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে আমার মনে হয় উত্তেজনা কমে আসবে। ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির কোনো সভা হয়নি এবং এমন কোনো সভার সময়সূচিও নির্ধারিত হয়নি।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেন, ভারত যদি এখানে থামে তবে আমরাও এখানে থামার কথা বিবেচনা করব।

অপরদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় পক্ষকে পরিস্থিতির উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আসিম মুনিরের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে রুবিও বলেছেন, ভবিষ্যতে সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলার সময় উভয় পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন মার্কো রুবিও।

গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। শুরু থেকে এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপায় ভারত। এর মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত দুইজন সন্ত্রাসীর পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যায়। যদিও ভারতের এ অভিযোগ অস্বীকারে করে আসছে পাকিস্তান। ওই ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে দেশ দুটি। এমন উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে হামলা চালায় ভারত। শুক্রবার রাত থেকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ শুরু করেছে।