নারীদের পছন্দের শীর্ষে ‘আঘানূর-ছাদাবাহার’

প্রকাশিত: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি  খুলনা

পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদকে সামনে রেখে খুলনার শপিং মলগুলো সেজেছে নতুন সাজে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পোশাকে ভরে উঠেছে বিপণী-বিতানগুলো। শোভা পাচ্ছে বাহারি রং আর ডিজাইনের পোশাক। রমজানের প্রথম দুই সপ্তাহে মার্কেটে তেমন ভিড় না থাকলেও এখন জমজমাট খুলনার ঈদ বাজার।

এবারের ঈদকে সামনে রেখে খুলনার মার্কেট দখল করে আছে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি পণ্য। যার মধ্যে নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি আঘানূর থ্রিপিস, ছাদাবাহার, মারিয়াবী ও ভারতের আলিয়া কাট, নায়রা কুর্তি ইত্যাদি।বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে। এবারও এমনটাই হচ্ছে। বিশেষ করে এখন মাসের শেষ। বেশিরভাগ ক্রেতাই এখনও বেতন পায়নি। ফলে লোকজন আসছে না। তবে এপ্রিলের শুরুতে আর রমজানের শেষ মুহূর্তে জমজমাট হয়ে উঠবে ঈদ বাজার এমনটাই বলছেন বিক্রেতারা।

খুলনা নিউ মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, রেলওয়ে মার্কেট, ডাকবাংলা, জলিল টাওয়ার, খালিশপুর, দৌলতপুরের মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, এবারের ঈদে তরুণীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নূরস, আঘানূর, মারিয়াবি, ছাদাবাহার, ছানাছাফিনা ও জামাল কুদু নামের থ্রিপিস। এছাড়াও রয়েছে আলিয়া কাট, পার্সি, দিল্লি বুটিকস, তাওয়াক্কাল, বিন হামির, অর্গানজা, নায়রা, ঘারারা ও সারারা নামের থ্রিপিস। এগুলো ভারত ও পাকিস্তানি থ্রিপিস। ভারতীয় টেলিভিশন সিরিয়ালের বিভিন্ন নামের থ্রিপিস কিনছেন তরুণীরা। প্রতিটি দোকানেই নতুন নতুন ডিজাইন ও বাহারি নামের থ্রিপিস এনেছেন বিক্রেতারা।

নিউ মার্কেটের খুলনা এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী মো. আলমগীর জানান, এবার পাকিস্তানি বিভিন্ন ব্রান্ডের থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া ভারতীয় বিভিন্ন থ্রিপিসও বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি থ্রিপিস সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, ভারতীয় ব্রান্ড ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং ভারতীয় বুটিকসের পোশাক ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, বেচাকেনা জমে উঠেছে। দোকানে এসে বেশিরভাগ ক্রেতা পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রিপিস কিনছে।

খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের বিসমিল্লাহ ফেব্রিক্সের মালিক আবুল হাসান জানান, ভারত ও পাকিস্তানি থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি আঘানূর, সাদাবাহার। আছে দেশি বিভিন্ন থ্রিপিস রয়েছে।বিএল কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া জাহান বলেন, কয়েকটি ড্রেস দেখে পরে আঘানূর থ্রিপিস কিনেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি থ্রিপিসের দাম বেশি।

নগরীর লবনচরা এলাকা থেকে নিউ মার্কেটে আসা রাসেল হোসেন বলেন, এবার পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রি পিস বেশি দেখছি। স্ত্রীর জন্য থ্রি-পিস এবং সন্তানের জন্য পোশাক কিনব। ছাদাবাহার ও আঘানূর দুটোই পছন্দ হয়েছে। একটি কিনব। দাম তুলনামূলক একটু বেশি।

খুলনা নিউ মার্কেটে আসা নগরীর খালিশপুর আলমনগর এলাকার বাসিন্দা চুমকি বলেন, বুটিকসের, সুতির থ্রিপিস দেখেছি। এবার ঈদের আঘানূর, সাদাবাহারসহ বেশ কিছু থ্রি-পিস দেখছি। এছাড়া দিল্লী বুটিকসের দেখতেও খুব সুন্দর। ভালো মানের। তবে এবার দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। দিল্লি বুটিকসের একটি থ্রি পিস নিয়েছি।নগরীর দৌলতপুর পাবলা এলাকার বাসিন্দা মোসাম্মাৎ রাখি বলেন, এবারের ঈদের বাজারে থ্রি পিসের দাম বেশি। তবে পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রি পিস রয়েছে।