
ক্রীড়া ডেস্ক:
ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের জের ধরে স্থগিত হয় পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। এরপর দেশে ফিরে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। বিশেষ করে ড্যারিল মিচেল ও টম কারানের কথা উল্লেখ করেন। তবে সংবাদমাধ্যমে নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন রিশাদ।
শুরুতে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় টম কারান কান্না করেছিলেন উল্লেখ করে রিশাদ বলেছিলেন, ‘এয়ারপোর্টে গিয়েছিল (কারান)। যাওয়ার পর যখন শোনে যে এয়ারপোর্ট বন্ধ, ফিরে আসার পরে ছোট বাচ্চাদের মতো কান্নাকাটি শুরু করেছিল। মনে হচ্ছিলৃ মানে ওকে দুই-তিন জন ধরে ইয়ে করছিল আর কীৃএরকম অবস্থা ছিল।’
এই ধরনের স্পর্শকাতর মন্তব্যের ক্ষেত্রে সাধারণত অনেক সতর্ক থাকেন ক্রীড়াবিদরা। রিশাদের মন্তব্যের পর বেশ বিতর্ক আর সমালোচনা হয়। রোববার (১১ মে) রাতে সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, তার মন্তব্য অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।
রিশাদ বলেন, ‘আমি জানি, আমার একটি সাম্প্রতিক মন্তব্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে এবং দুর্ভাগ্যবশত এটি মিডিয়াতে ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যার ফলে একটি ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মন্তব্যটি আমি বাংলাদেশের কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে দুবাই বিমানবন্দরে ট্রানজিট অবস্থায় একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে দিয়েছিলাম। মন্তব্যটি পূর্ণ প্রেক্ষাপট ছাড়া ছিল এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে অনুভূতিগুলোকে অতিরঞ্জিত করে তুলেছিল।’
মিচেল ও কারানের কাছে আলাদা করে দুঃখপ্রকাশ করেন রিশাদ। পিএসএল আবার শুরু হলে দলে যোগ দিত মুখিয়ে আছেন বলেও জানান ২২ বছর বয়সী লেগ ম্পিনার।
রিশাদ বলেন, ‘আমি যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ড্যারিল মিচেল এবং টম কারানের কাছে নিঃশর্তভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমি আমার সহ-খেলোয়াড়দের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রাখি এবং কালান্দার্স পরিবারের মূল্যবোধকে খুবই গুরুত্ব দিই — যেখানে আমরা একে অপরের পাশে থাকি, যে কোনো পরিস্থিতিতে।’
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের কারণে পিএসএল স্থগিত হওয়ার পর বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানার পাশাপাশি অন্য বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশে ফেরা নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। বেশ কিছু ফ্লাইটও বাতিল হয় পাকিস্তানে। তবে শেষ পর্যন্ত রিশাদ, নাহিদরাসহ বিদেশি ক্রিকেটাররা নিরাপদেই পাকিস্তান ছাড়তে পারেন।
পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পথে দুবাই বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতির সময় বাংলাদেশের ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বিদেশি ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা প্রসঙ্গে কথা বলেন।
রিশাদ বলেন, ‘আসলে বিদেশি যারা ছিল, স্যাম বিলিংস বলেন, ড্যারিল মিচেল বলেন, কুসাল পেরেরা, ডেভিড ভিসা এবং আমাদের (লাহোর কালান্দার্সের) টম কারানৃ ওরা এত আতঙ্কিত ছিল যে মনে হচ্ছিল, এখনই যেতে পারলে বাঁচে। দুবাইয়ে নামার পর ড্যারিল মিচেল বলছিল, ‘আমি আর কখনও পাকিস্তানে আসব না, এই পরিস্থিতিতে কখনোই না।’ অনেক আতঙ্কে ছিল ওরা।’