দাবি আদায় করবো, না-হয় মাটির নিচে শায়িত হবো: ইশরাক

প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

আদালত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নাম ঘোষণা করলেও শপথ না পড়ানোয় সম্প্রতি সৃষ্ট আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সোমবার (১৯ মে) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেছন।

ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্র্বতী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।

তিনি লিখেন, অনেক সমালোচনা মাথা পেতে নিয়েছি, পিতা মাতা তুলে গালি গালাজও চুপ করে সহ‍্য করে গিয়েছি। কারণ একটাই, এদের চেহারা উন্মোচন করতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটার অধিকারের স্বার্থে। সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কি ভূমিকা পালন করবে তা ক্লিন কাট বুঝিয়ে দিল।

তিনি আরও লিখেন, কোনো কথা চলবে না, যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে নয়, বরঞ্চ একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এরা হাসিনার মতোই বিচারকদের হুমকি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছে। উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করেছে। এবং আমলাতন্ত্র হাসিনার দোসরদের সাথে নিয়ে লম্বা কুচক্র পরিকল্পনা করছে। একদিন এদের সবার নাম পরিচয় প্রকাশ পাবে।

ইশরাক হোসেন লেখেন, হাসিনারেও বলছিলাম কবরটা ঠিক করাই আছে আল্লাহর হুকুম থাকলে সেখানেই হবে ইনশাআল্লাহ। লড়াই শেষ হয় নাই। হয় দাবি আদায় করবো নাহয় আল্লাহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব। গণতন্ত্রের সাথে, জনগণের ভোটার অধিকারের সাথে এক চুল ছাড় হবে না।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করা হয়। তবে অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম মেয়র পদে তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।

এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে গেজেট প্রকাশের পরও শপথ না পড়ানোয় তার সমর্থকরা গেল কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছেন।