তীব্র গরমে আরাফাত ময়দানে জড়ো হয়েছেন ১৫ লক্ষাধিক হাজি

প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট :

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এবারের হজে আরাফাত ময়দানে ১৫ লাখেরও বেশি মুসলমান জড়ো হচ্ছেন। এদিকে, শনিবার (১৫ জুন) সৌদির তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১০৯.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। তা উপেক্ষা করেই ক্রমবর্ধমান এই তাপের মধ্যে আরাফাত পর্বতে প্রার্থনা করতে যাচ্ছেন হাজিরা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে অবস্থিত পাথুরে আরাফাত পর্বত। ৭০ মিটার (২৩০ ফুট) উচু এই পাহাড়টিতে আরোহণ করে প্রার্থনা করবেন হাজিরা। সেখানে নবী মোহাম্মদ (সা:) তাঁর শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন।

ঘানার একজন হাজি ২৬ বছর বয়সী আব্রামান হাওয়া বলেন, হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে কমপক্ষে পাঁচ দিন সময় লাগে এবং এর অধিকাংশই বাইরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তার কথায়, ‘এটি সহজ নয়। কেননা, এখানে বেশ গরম।’

আব্রামান বলছিলেন, ‘আমাদের দেশেও সূর্য ওঠেৃতবে সেখানে এত গরম পড়ে না। তব্ওু আরাফাতে আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব। আমার তার সাহায্য দরকার।’

হাজিদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার এবং সূর্যের তাপ থেকে নিজেদের রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজ পালনের সময় পুরুষদের টুপি পরা নিষিদ্ধ হওয়ায় অনেকেই ছাতা ব্যবহার করছেন।

চলতি সপ্তাহে এক সৌদি কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, গত বছর হজ পালনের সময় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাপজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এর মধ্যে ১০ ভাগই ছিল হিট স্ট্রোক।

বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েতগুলোর একটি হজ। জলবায়ুর পরিবর্তন হজ পালনকে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রভাব ফেলছে। একটি সৌদি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি ১০ বছরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়ছে।

৬০ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি হাজি মোহাম্মদ ফারুক। উপসাগরীয় এই অঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন তাপ তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে হজ আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

মুসলমানদের পবিত্র শহর মক্কার বাইরে কয়েক কিলোমিটার দূরের তাবুর শহর মিনা অবস্থিত। সেখানে রাত কাটিয়ে শনিবার ভোরে আরাফাতের দিকে রওয়া হনহাজিরা।

আরাফাতের আনুষ্ঠিানিকতা শেষে মুজদালিফায় যাবেন তারা। সেখানে প্রতীকী ‘শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ’ করার জন্য নুড়ি সংগ্রহ করবেন। রবিবার মিনায় ফিরে শয়তানের উদ্দেশে সাতটি পাথর মারা শেষে পশু কুরবানি দেবেন হাজিরা।