
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিল মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ১ জুন। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের চার সদস্যবিশিষ্ট আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়, যা পরবর্তীতে বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। তবে দীর্ঘদিন পরে পুনরায় এই শুনানি শুরু হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বরে আপিল বিভাগ জামায়াতের করা আপিল ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ করে দেয়, কারণ শুনানিতে তাদের মূল আইনজীবী অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল থাকে।
তবে পরে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার অনুমতি দেয়, যার মাধ্যমে দলটি নতুন করে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ পায়।
এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে দলটির নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিল করে দেয়।
এদিকে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তবে পরে, একই বছরের ২৮ আগস্ট ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যার ফলে সংগঠন দুটির কার্যক্রম আবারও আইনি কাঠামোর আওতায় ফিরে আসে।