চীনের কর্মীরা ছুটিতে গেলেও প্রভাব পড়েনি পদ্মা সেতুতে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০

পদ্মাসেতু প্রকল্পে কর্মরত রয়েছেন ৯৮০ জন চীনা নাগরিক। নববর্ষ উপলক্ষে এদের মধ্য থেকে ছুটি নিয়ে চীনে গেছেন ৩৩২ জন। তাদের ছুটির মেয়াদ না বাড়ানো হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতিতে কোনও সংকট দেখা দেবে না। আর ছুটি বাড়ালে তাদের অনুপস্থিতির প্রভাব পড়বে আড়াই-তিন মাস পর। এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর ও প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালাচনা ও নাগরিকদের সেবা দেওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে এক আলোচনা সভা শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ছুটিতে যাওয়া চীনা শ্রমিকদের ছুটি আরও দুই মাসের বেশি বাড়ানোর প্রয়োজন হলে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি বলেন, যে ৩৩২ চীনা শ্রমিক ছুটিতে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৩৩ জন ফিরে এসেছে। তাদের আট জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ‘কোয়ারেন্টাইন’জোন থেকে বের করে রাখা হয়েছে। বাকিদের এখনও ‘কোয়ারেন্টাইন’ ইউনিটে রাখা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে চীনের অচলাবস্থার (করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি) অবসান ঘটলে পদ্মাসেতু নির্মাণে কোনও অসুবিধা হবে না। কাজ চলতে থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে ২৩টি স্প্যান বসেছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪তম স্প্যানটি বসবে। কাজেই তাদের অনুপস্থিতিতে তেমন কোনও সমস্যা হবে না। তবে আড়াই থেকে তিন মাস পর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সেতুমন্ত্রী জানান, আগামী মার্চেই ঢাকা-মাওয়া রুটে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ শেষ, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার রাস্তার কাজও শেষ। পদ্মার ওপার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধনও হয়েছে।

কাদের বলেন, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে ৭২ জন চীনার মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। এখানে সেতু বিভাগের অংশে অগ্রগতি ২০ শতাংশ। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (মেট্রোরেল) প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজ ৩৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পে চীনা নাগরিক আছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে ৩১ জন চীনে ছুটিতে যাওয়ার পর একজন ফেরত এসেছেন।