চিকিৎসক বলার পর কাউসারকে দায়িত্বে নেওয়া হয়েছিল : আইজিপি

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলাম 

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যা করে আরেক কনস্টেবল কাওসার আলী। এ ঘটনায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাওসার আলী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন আমরা জানতাম। তবে চিকিৎসক যখন তাকে রোগমুক্তির সনদ দেন তখন তাকে দায়িত্বে ফেরানো হয়।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

কাওসার আলী নামে যে পুলিশ কনস্টেবল গুলি ছুড়েছেন তাকে এর আগে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ডিপ্লোম্যাটিক এলাকার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দায়িত্বে ছিলেন তিনি, বিষয়টি পুলিশ জানতো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এটা আমরা জেনেছি। এরপর একজন চিকিৎসক যখন তার বিষয়ে বলেছে সে (কনস্টেবল কাওসার) ফুললি ফিট ফর জব (চাকরির জন্য সম্পূর্ণ সুস্থ) তখন তাকে কাজে আবার নিয়োজিত করেছি। তবে এ ধরনের সদস্যদের নিয়োগের আগে ভবিষ্যতে আরও বেশি সতর্ক থাকব আমরা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

কাওসার আলী নামে যে পুলিশ কনস্টেবল গুলি ছুড়েছেন তাকে এর আগে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ডিপ্লোম্যাটিক এলাকার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দায়িত্বে ছিলেন তিনি, বিষয়টি পুলিশ জানতো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এটা আমরা জেনেছি। এরপর একজন চিকিৎসক যখন তার বিষয়ে বলেছে সে (কনস্টেবল কাওসার) ফুললি ফিট ফর জব (চাকরির জন্য সম্পূর্ণ সুস্থ) তখন তাকে কাজে আবার নিয়োজিত করেছি। তবে এ ধরনের সদস্যদের নিয়োগের আগে ভবিষ্যতে আরও বেশি সতর্ক থাকব আমরা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী। পুলিশে বেসিক ট্রেনিংয়ে স্ট্রেস (চাপ) ম্যানেজমেন্ট কি হবে, বিভিন্ন পর্যায়ে কি ধরনের স্ট্রেস হতে পারে মনোবিজ্ঞানীরাও ক্লাস নিয়ে থাকেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও ক্লাস নেন। বিশেষ ইউনিট যেমন ডিএমপি অথবা কোনো জেলায় একজন সদস্যের পোস্টিং হয় সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গার ডিউটি প্যাটার্ন অনুযায়ী ব্রিফিং করা হয়, ওরিয়েন্টেশন কোর্সও করানো হয়। এছাড়া ডিউটির ধরণ অনুযায়ী কি ধরনের স্ট্রেস হতে পারে সে বিষয়েও মাঝে মাঝে ব্রিফিং করা হয়।
বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে আপনি নিশ্চয় অবগত। তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনে পুলিশ প্রধান হিসেবে আপনি কতটা বিব্রত? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, যে বিষয়গুলো আসছে সেগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে জিনিসটা বের হয়ে আসবে। যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক দিক আসে সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে থাকি।
পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান, যখনই কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তখন প্রত্যেকটি বিষয় যথাযথভাবে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

জুনিয়র সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো মেসেজ আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, একজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালনের দিক থেকে ইতিবাচকভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। একসময় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দেশকে ছেয়ে ফেলেছিল। সেই অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছি।

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।