চাঞ্চল্যকর আনার হত্যার এক বছর, রহস্যই থেকে গেল সবকিছু

প্রকাশিত: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের এক বছর কেটে গেল। তবে এখনও তার মরদেহের খণ্ডাংশের সন্ধান মেলেনি। কেন, কীভাবে, কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটালো কাটেনি সে রহস্যও।

গত বছরের ১২ মে কলকাতায় গিয়েছিলেন সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেখানে তিনি বরাহনগর এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তবে ১৩ মে সেই বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেননি। এরপর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম।

এরপর ২২ মে সকালের দিকে তার খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ জানায়, কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়।এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বলছে, খুনের আলামত মুছে ফেলতে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছিল। পরে সেগুলো সুটকেস ও পলিথিনে ভরে ফেলে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়।

এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। ঘটনার পর, গত বছরের ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন সাবেক এমপির ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশে এবং ২ জন ভারত ও নেপালে আটক রয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তবে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত আনারের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহীন এখনও পলাতক।

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ভারতে গিয়ে ডিএনএ দিয়ে আসেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মরদেহের খণ্ডাংশের সাথে তার ডিএনএ মিলেছে বলে খবর রয়েছে। তবে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জানানো হয়নি।

একজন আইন প্রণেতাকে এভাবে দেশের বাইরে হত্যার ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। হত্যার এক বছরে কালীগঞ্জের বাড়িতে এতিমখানার শিশুদের দিয়ে কোরআন খতম ও মিলাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।