কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিএনপির ত্রাণ বিতরণ

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২৪

পটুয়াখালীর প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির উদ্যোগে কলাপাড়ার কুয়াকাটায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী সোহেল বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।

এ সময় কুয়াকাটার আশি ঘর জেলে পল্লী পরিদর্শন করেন বিএনপির প্রতিনিধি দল এবং সেখানে নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দেন ভবিষ্যতে পাশে থাকার। পরে কুয়াকাটা সমুদ্র বাড়ির রিসোর্টের সামনে বসে তিন শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আটাসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন- নবী সোহেল এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, মোহাম্দ মুনির হোসেন, হাসান মামুন, হায়দার আলী লেলিন, মো. দুলাল হোসেন, স্নেহাংশু সরকার কুট্টিসহ আরও অনেক কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন বলেন, এ সরকার মেরুদণ্ডহীন সরকার। তারা সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আজকে সবচেয়ে অবহেলিত কলাপাড়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে কলাপাড়া এসে মাত্র ২০ জনকে ত্রাণ দিয়ে চলে গেছেন। মূলত আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে লোক দেখানো।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী সোহেল বলেন, এই অবৈধ সরকারের দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী নাকি আপনাদের এলাকার এমপি। কিন্তু আজকে আপনাদের জন্য তিনি কী করেছেন? কিছুই করতে পারেনি। বরং ঢাকায় বসে সব লুটপাট করে খাচ্ছেন। এ সরকার অবৈধ, এরা দেশের টাকা পাচার করে বেনজির, আজিজ তৈরি করছে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের খবরে ত্রাণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে যোগ দেয় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বহুদিন পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের পেয়ে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার কমতি ছিল না নেতা কর্মীদের মাঝে।