কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম

প্রকাশিত: ১:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল প্রত্যাশিত রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে ভিত্তিপ্রস্তর ফলকে দেওয়া হয়নি প্রধান উপদেষ্টার নাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারীর নাম না দিয়েই ফলক তৈরি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফর করছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

নতুন সেতুর কাজ ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করে ২০৩০ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন একটি কালুরঘাট সেতু নির্মাণ। এর নিমার্ণকাজ শুরু হওয়ায় বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী উৎফুল্ল। এখন যে সেতুটি আছে ১৯৩১ সালে সেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি এর মেয়াদকাল ৮০ বছরও ধরা হয়, তবে ২০১১ সালে এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সুবক্তগীন জানিয়েছেন, ‘কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল আকাঙ্ক্ষিত রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন হয়েছে। ফলকে কারো নাম না লিখতে নির্দেশনা পেয়েছিলাম আমরা। সেভাবেই ফলকটি তৈরি করা হয়েছে। এটা দেশের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি নজিরবিহীন ও প্রশংসনীয় ঘটনা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্দেশনা মতো আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’

প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকার দেশের একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন কিংবা উদ্বোধনের সময় ফলকে কারো নাম রাখেনি। সর্বশেষ চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে প্রথমবারের মতো ফেরি সার্ভিস উদ্বোধনের সময় ফলকে কারো নাম না দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। শুধুমাত্র ‘কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর উপর রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণ’ ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন লিখে বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের নাম ফলকে লিখে প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।