বিশ্বেজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, নারীদের তুলনায় পুরুষরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
এর প্রধান কারণ হিসেবে চিকিৎসক সুব্রত কুন্ডু মনে করেন, পুরুষরা অনেক বেশি বাইরের কাজ করেন।
তিনি বলেন, ‘আসলে পুরুষরা নারীদের চেয়ে অনেক বেশি বাইরে বের হন। তাই তারা বেশি করে আক্রান্ত হয়েছেন। যেহেতু তারা বাইরে বের হচ্ছেন, তাই তারা করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসছেন। সেখান থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডাক্তার সাত্যকি হালদার এ বিষয়ে ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্য জায়গাতেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
করোনা হচ্ছে সামাজিক অসুখ। ভাইরাসটি সংক্রমক, অর্থাৎ ছোঁয়াচে। তাই যিনি বাইরে যাচ্ছেন ও আক্রান্ত হচ্ছেন, তিনিই আক্রান্ত হচ্ছেন। পুরুষরা বাইরে যাওয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো ভাইরসের একটি জেনেটিক কাঠামো থাকে। করোনার ক্ষেত্রে সেই গঠন এখনও বোঝা যায়নি। পুরুষ ও নারীদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও বেশি কারও কম।
করোনা কী করে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাঙছে, তা এখনও জানা যায়নি। জানা গেলে বোঝা যাবে কেন পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
আইসিএমআরের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত অধিকাংশ লোকের বয়স ৪০ বছরের বেশি। সমীক্ষা অনুসারে ৫০ বছরের বেশি বয়স্করা তুলনায় অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
আইসিএমআরের মতে, মধ্যরেখা হলো ৫৪ বছর। এর কারণ নিয়ে অবশ্য চিকিৎসকরা একমত। তাদের মতে, ৫০ বছরের পর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়।
সাত্যকি হালদার মনে করেন, ৫০ বছর বয়সীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলেও ৬০-৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাইরে বেরোনোর প্রবণতা আগের মতোই থাকে। তাই তারা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।