করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক কুর্মিটোলা হাসপাতালে

প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিককে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তিনি সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কোরিয়া থেকে জ্বর নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।

 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।

এক প্রশ্নে জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি জানান, যেখান থেকে এই সংক্রমণের উৎপত্তি সেই চীনের উহানে মৃতের শতকরা হার দুই থেকে চার ভাগ। যা চীনের বাইরে এক শতাংশ’রও নিচে। সংখ্যার হিসেবে যা শূন্য দশমিক সাত ভাগ।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে আইইডিসিআর বলছে, বিশ্বে এ পর্যন্ত আক্রান্ত দেশের সংখ্যা ২৯টি। এই তালিকায় সবশেষ যুক্ত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরে ৫ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ জনসহ মোট ৬ বাংলাদেশী এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

এছাড়াও মীরজাদী জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বলছে হাসপাতালে সময়মতো ভর্তি হলে ১৪ দিনেই ভালো হচ্ছেন করোনা রোগীরা। তবে দেশে এ পর্যন্ত ৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কিন্তু কারোরই করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি।

বাংলাদেশে এখনও আক্রান্তের খবর না পাওয়া গেলেও স্বাভাবিক সৌজন্যতার আদবকেতা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন মীরজাদী। বিশেষ করে হাঁচি কাশি দেবার সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা, সাবান পানিতে হাত ধোয়া যে কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ বলে স্মরণ করিয়ে দেন মীরজাদী।

 

ব্রিফিং-এ বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্বে সর্বমোট রোগীর সংখ্যা ৭৯ হাজার ৩৩১ জন। এরমধ্যে শুধু চীনেই আক্রান্ত ৭৭ হাজার ২৬২ জন। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৫। যার মধ্যে উহানবাসীর সংখ্যাই সর্বাধিক।

 

এছাড়াও খুব জরুরি না হলে আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মীরজাদী। যদি ভ্রমণ করতেই হয় সেক্ষেত্রে ভ্রমণ সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।