এনবিআর-কাস্টমসে হয়রানি, মন্ত্রিসভায় তুলবেন নানক

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও কাস্টমসে হয়রানির বিষয়ে মন্ত্রিসভায় তুলবেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান।

পাটমন্ত্রী বলেন, গতকাল রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। তিনি এনবিআর সম্পর্কে এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে যেগুলো আমি বলতে পারব না।তিনি বলেন, সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে। আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি। সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নানক বলেন, দুটি বিষয়, একটি হলো রেমিট্যান্স পাঠানো আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, যে সমস্ত মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের, এনবিআরের সমস্যা। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সব থেকে হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। উনি সৎ কিন্তু ওনার নিচে যারা আছে… আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার।তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না বলেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোনো বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানি মুক্ত ব্যবসা করতে চাই।